নাওরাঃ মুঘল নাওয়ারা বা নৌবাহিনীর কোন কর্মচারীর এককালীন প্রাপ্ত জমি নাওয়ারামহল ছিল এই এলাকা। নাওয়ারা মহলের সংক্ষিপ্ত রূপ হল এই নাওরা।
চোরখালিঃ নদীর চরের মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত খালকে বলা হত চলের খাল। চরের খাল শব্দ থেকে সৃষ্ট হয়েছে চোরখাল। আর খাল শব্দের অন্তে “ই” প্রত্যয় যোগ হয়েছে চোরখালি।
গোপাডিঙ্গাঃ স্থানটি ছিল ডাঙ্গার ঝোপ পূর্ন। এইভাবে স্থানের প্রথম নাম হয় ঝোপডাঙ্গা বা ঝোপাডাঙ্গা। ঝোপাডাঙ্গা শব্দ থেকে স্থানের নাম হয়েছে গোপাডিঙ্গা।
নারায়ণদিয়াঃ স্থানটি ছিল একটি ছোট দ্বীপ বিশেষ। নারায়ণ নামক এক ব্যক্তি এখানে বসদি স্থাপন করায় স্থানের নাম হয় নারায়ণদ্বীপ। সেই নারায়ণ দ্বীপ লোকমুখে সংক্ষিপ্ত হয়ে স্থানের নাম হয়েছে নারায়ণদিয়া।
আউড়িয়াঃ আড়াআড়িভাবে স্থিত দ্বীপ থেকে স্থাননাম হয় আড়দ্বীপ। সেই আড়দ্বীপ লোকমুখে উচ্চারিত হতে হতে স্থানের নাম হয়েছে আড়িয়ারা। আড়িয়ারার চরাঞ্চল চরআড়িয়ারা নামে পরিচিত।
আস্তাইলঃ রাস্তা ও আইলের সমন্বিত স্থানের নাম হয়েছিল রাস্তাইল। রাস্তাইল থেকে শব্দটি পরিবর্তিত হয়ে স্থাননাম হয়েছে আস্তাইল।
তথ্যসূত্রঃ নড়াইল জেলা সমীক্ষা ও স্থাননাম- মহসিন হোসাইন।